Description
যেসব মৌলিক বিষয়ে ঈমান রাখা অপরিহার্য সেসবের স্বচ্ছ জ্ঞান ও তাৎপর্য সম্পর্কে গাফেল হলে স্বভাবতই ঈমান হারানোর আশঙ্কা থাকে। যে বক্তি আল্লাহ্কে ‘রিয্কদাতা স্বীকার করে, তার পক্ষে খাওয়া-পরা নিয়ে প্রচেষ্টার অতিরিক্ত ‘পেরেশান’ হওয়া বেমানান। সত্যিকারার্থে ‘আখিরাতে’ বিশ্বাসী কখনও দুনিয়াকে জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য উদ্দেশ্য বানাতে পারে না। আর এ জন্যই, বিশ্বাস ও কর্মের এই ফারাকের মূল কারণ, আল্লাহ্কে না চেনা, ঈমান সম্পর্কে অস্পষ্টতা বা এর তাৎপর্য উপলব্ধিতে ব্যর্থতা। কিন্তু ঈমানের গুরুত্ব ও মর্যাদা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে মুমিন ব্যক্তির উপর এর বহুবিধ উপকারিতা ও সুফল—কোনো কিছুই গোপন নয়। . তাই এই বিষয়ে উম্মাহকে সচেতন করা এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন স্কলারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি মৌলিক গবেষণাকর্ম ও মহান কিতাব এই ‘উসূলুল ঈমান’। অনুবাদ করেছেন এই দেশের বিখ্যাত দুই আলেম ড. মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী এবং ড. আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া।
প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়ঃ বইটিতে প্রথম অধ্যায়ে আল্লাহ তাআলার উপর ঈমান, তাওহীদ-এ রুবুবিয়্যাহ, উলুহিয়্যাহ ও আসমা ওয়া সিফাত নিয়ে একাডেমিক আলোচনা করা হয়েছে। স্পেশালি আসমা ওয়া সিফাত সাব্যস্ত করা এবং সেগুলোর ক্ষেত্রে অনুসৃত নীতিমালা সম্পর্কে [একাডেমিক হিসেবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম] অনুবাদ ভিত্তিক এই বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে।
এর পরের অধ্যায়ে ঈমানের অবশিষ্ট রুকন, তন্মধ্যে ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান, তাদের পরিচয়, সৃষ্টির মূল, গুণাবলী, বৈশিষ্ট্য, তাদের মর্যাদা, দায়িত্ব, কাজের ধরন এবং তাদের উপর ঈমান আনয়নের ফলাফল আলোচিত হয়েছে।
এই অধ্যায়ের পরের পরিচ্ছেদে আলোচনা করা হয়েছে; অবতীর্ণ গ্রন্থসমূহ, নবীগণ ও রাসুলগণের উপর ঈমান, তাদের পরিচয়, নবী ও রাসূলেগণের মধ্যে পার্থক্য, তাদের মুজিযা এবং ওলীদের কারামত (মুজিযা ও কারামতের পার্থক্য), আখেরাতের ওপর ঈমান, আখিরাতের বর্ণনাকারী বিষয় সমূহ যেমনঃ কবর, পুনরুত্থান, মিজান, জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে পূর্ণ বর্ননা। অধ্যায়ের সর্বশেষ পরিচ্ছেদে আলোচনা করা হয়েছে আল্লাহর ফয়সালা, তাকদীরের সংজ্ঞা, পার্থক্য, প্রমাণ, তাকদীরের স্তরসমূহ এবং তাকদীরের উপর ঈমান আনয়নের ফলাফল।
সর্বশেষ তৃতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে; আকিদার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাসয়ালা যেমনঃ ইসলাম, ঈমান, ইহসান এবং সেগুলোর হুকুম, সম্পর্ক, পার্থক্য। কাবীরা গুনাহকারীর হুকুম, বন্ধুত্ব স্থাপন ও বৈরিতা পোষনের সংজ্ঞা এবং নীতিমালা। সাহাবীদের হক, তাদের ব্যাপারে আমাদের করণীয়, তাদের পরিচয়, মর্যাদার ভিত্তিতে তাদের স্তর সমূহ, তাদের ফজিলত ও ন্যায় পরায়নতার ওপর বিশ্বাস করা এবং তাদের ঘটে যাওয়া ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে শরীয়তের আলোকে চুপ থাকার আবশ্যকতা। আহলে বাইতের পরিচয় এবং তাদের উপর আমাদের করণীয়, খোলাফায়ে রাশেদীন এবং জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবীর সাথে অন্যান্য সুসংবাদপত্র সাহাবীগণ। মুসলিমদের ইমাম ও সাধারণ মুসলিমদের প্রতি কর্তব্য এবং তাদের দলভুক্ত থাকার আবশ্যকতা, সেইসাথে শাসকদের প্রতি আমাদের করণীয়। এই অধ্যায়ের সর্বশেষ পরিচ্ছেদে আলোচনা করা হয়েছে; কোরআন ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরার আবশ্যকতা এবং দৃঢ়ভাবে ধারণ করার তাৎপর্য, বিচ্ছিন্নতা ও মতানৈক্যের ব্যাপারে সতর্কীকরণ, পূর্ববর্তী জাতিসমূহের ধ্বংস ও মুক্তি পাওয়ার উপায় সমূহ এবং সেই সকল পরিস্থিতি সাপেক্ষে আমাদের করণীয়।
Reviews
There are no reviews yet.